ইতিহাস
কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজে বৃহত্তর নোয়াখালীর শীর্ষ বেসরকারি কলেজ। কলেজের প্রতিভূ, দক্ষ, গুনী, পরিচালনা পর্ষদের তত্ত্বাবধানে অধ্যক্ষ মহোদয়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এক ঝাঁক মেধাবী প্রবীণ ও নবীণ শিক্ষক নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। কলেজের মূল গেইটে ছাত্র ছাত্রীদের প্রবেশ পথ দেখিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। বহিরাগত কিংবা সাক্ষাত প্রার্থীদের মধ্যাহ্ন বিরতীর পূর্বে তথা শ্রেণী কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে ভেতরে সাধারণত প্রবেশ করতে দেয়া হয়না। ক্লাসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক, মাননীয় অধ্যক্ষের নেতৃত্বে একাডেমিক কাউন্সিল ক্লাস চলাকালীন সময়ে তৎপর থাকেন। বারান্দা কিংবা বাগানে যাতে কোন ছাত্র ছাত্রী বসে গল্প করে অনর্থক সময় নষ্ট না করে এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যগণ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।
কলেজটিতে বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, বিজ্ঞান বিভাগ চালু রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শাখার বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিএম কোর্স চালু রয়েছে। এতে দুটি শাখা বিদ্যামান, কম্পিউটার সায়েন্স ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা। স্নাতক (পাশ) কোর্সে বি. এ (পাশ), বি. এস. এস, বি. বি. এস শিরোনামে তিনটি বিভাগ চালু রয়েছে। স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম বর্তমানে (২০১৩-২০১৪) শিক্ষাবর্ষ হইতে চালু হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ২৮টি, উচ্চ মাধ্যমিক বি এম শ্রেণীতে ২টি স্পেশালাইজেশন স্নাতক (পাশ) শ্রেণীতে ১১টি বিষয় এবং সম্মান শ্রেণীর রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা সহ ০৩ টি বিষয় পাঠ্যের অন্তর্ভূক্ত।
কলেজের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী, বিশ্ব সাহিত্যের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে শুরু করে এমন কোন বই নেই যা অত্র লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবেনা। এছাড়াও প্রতি বছর নতুন নতুন বই ছাত্র ছাত্রীরা লাইব্রেরী ওয়ার্ক এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে থাকে।
কলেজের তত্ত্বাবধানে একাডেমিক বিষয়ের পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের বাস্তব যোগ্যতা গড়ার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতি মনোানিবেশ করা হয়। প্রতি বছরই এ কলেজ থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে ছাত্র ছাত্রীরা বিরল সম্মান বয়ে আনে। এছাড়া বিভিন্ন দিবস উদ্যাপনের বিষয়েও অত্র কলেজের সুনাম রয়েছে। কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া অনেকেই এখন কলেজ এবং এলাকার গৌরব, জাতীয় পর্যায় থেকে শুরম্ন করে বিভিন্ন পর্যায়ে উচ্চ পদস্থ অনেক আসনে অত্র কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা সমাসীন। প্রত্যাশা দিন দিন এটি আরো জোরদার হবে। আগামী দিনে অত্র কলেজ বৃহত্তর জেলার নয়, দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কলেজ হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
১. ছাত্র-ছাত্রীদের চারিত্রিক ও মানবিক গুণাবলীর সার্বিক বিকাশ সাধনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ মানব সম্পদ উন্নয়ন।
২. ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের শতভাগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং শতভাগ পাসসহ শতভাগ জিপিএ পাওয়ার মত দক্ষ করে গড়ে তোলা।
৩. মানসম্মত সু-শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদান কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে গৃহশিক্ষকের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস।
৫. নৈতিক মূল্যবোধ, মানবতাবোধ, দেশাত্ববোধ এবং সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।